,

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কোনো শঙ্কা নেই: সেনাপ্রধান

সময় ডেস্ক ॥ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় কোনো শঙ্কা নেই। গতকাল রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ টরকী এলাকায় আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুযায়ী যেকোনো কাজে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কারণ দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তাই দেশের জন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে আমরা বাধ্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাফল্য তুলে ধরে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, দেশবাসী লক্ষ্য করেছে যে, করোনা মহামারিতেও সেনাবাহিনী বেশ তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তখন সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তখন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি দেশের জন্য। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬২টি জেলায় প্রতিদিন ১১০০-১২০০ সেনা সদস্য গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। গণসচেতনতা সৃষ্টি করেছে ও মানুষের মধ্যে মাস্ক এবং ইকুইপমেন্ট প্রদান করেছে সেনাবাহিনী। করোনা মহামারিতে অস্থায়ী হাসপাতাল করে মানুষের চিকিৎসা দিয়েছি। গর্ভবতী মায়েরা যখন হাসপাতালে যেতে পারছিলেন না, তখনও সেনাবাহিনী তাদের চিকিৎসা দিয়েছে। তিনি বলেন, অতীতের মতো কঠোর দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতেও যদি দেশের স্বার্থে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে জনগণের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটা করতে সবসময় প্রস্তুত। এ ধরনের দায়িত্ব পালন তাদের প্রশিক্ষণ এবং মানসিক প্রস্তুতির একটি অংশ বলেও মনে করেন সেনাপ্রধান। বাবার নামে নির্মিত হাসপাতালটি উদ্বোধন করতে সেনাপ্রধান হওয়ার পর এই প্রথম জেনারেল আজিজ আহমেদ নিজ গ্রামে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মৃণাল কান্তি দে, স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সারোয়ার, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খাতুন মজলিশ, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় অন্যান্য ব্যক্তিরা।


     এই বিভাগের আরো খবর